Fatwa No : 77
শুধুমাত্র শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে যোগব্যায়াম করা বৈধ কিনা

শুধুমাত্র শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে যোগব্যায়াম করা বৈধ কিনা

আসসালামু আলাইকুম! আমি একজন BAMS (bachelor of ayurvedic medicin and surgery) শিক্ষার্থী । আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে যোগ একটি থেরাপিওটিক চিকিৎসা যা অনেক ক্ষেত্রে ঔষধের পাশাপাশি বা পরিবর্তে দেয়া হয়। অথেনটিক আয়ুর্বেদিক অনুযায়ী যোগের অনেক কিছু হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় দর্শনের সাথে সম্পর্কিত। যেমনঃ সূর্য নমস্কার, ওম ধ্বনি, নমস্কার মুদ্রা, এসব সরাসরি শিরক যা স্পষ্টত। কিন্তু আমি যদি যোগব্যায়ামকে শুধুমাত্র শরীরচর্চা হিসেবে করি এবং বিভিন্ন আসনগুলো চর্চা করি তাহলে কোন শিরক হবে কিনা? তাছাড়া আয়ুর্বেদ অনুযায়ী পঞ্চমহাভুত তত্ত, সপ্তধাতু, ত্রিদোষ, যোগের সপ্তচক্র, পঞ্চপ্রাণ, অষ্টাংগ যোগ ইত্যাদিতে বিশ্বাস করা যাবে কিনা?

الجوابُ حامِدا ًو مُصلیِّا ً وَمُسَلِّمًا

আয়ুর্বেদ অনুযায়ী যোগ ব্যায়াম এটা হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় দর্শনের সাথে সম্পর্কিত হওয়ায় এবং এতে হিন্দুদের উপাসনার সাথে সাদৃশ্য থাকায় শুধুমাত্র শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে হলেও মুসলমানদের জন্য তা করা বৈধ হবে না। আর আয়ুর্বেদ অনুযায়ী পঞ্চমহাভূত তত্ত্ব, সপ্তধাতু, ত্রিদোষ, যোগের সপ্তচক্র,পঞ্চপ্রান ও অষ্টাংগ যোগ-এর বিশ্লেষন অনুযায়ী, পঞ্চমহাভূত তথ্যের উপর বিশ্বাস করা যাবে না। কেননা এর বক্তব্য ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক । অনুরূপভাবে ত্রিদোষও তার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা বৈধ হবে না। আর সপ্তচক্রের উপর বিশ্বাস করা হারাম। কেননা এর ভিক্তি হিন্দু ধর্ম ও যোগ দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। যার মধ্যে আল্লাহর সাহায্য ছাড়া নিজে শক্তি অর্জনের কল্পনা থাকে। অনুরুপভাবে অষ্টাংগ যোগ এটি হিন্দুদের ইবাদতের বিশেষ এক পদ্ধতি। যার মধ্যে ঈশ্বরের আত্মসমর্পণও শর্ত করা হয়। যার কারনে এর উপর বিশ্বাস করাও সম্পূর্ণ হারাম। তবে পঞ্চপ্রাণ ও সপ্তধাতু এ দুটি শুধুমাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় এবং ইসলামের মতাদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক না হওয়ায় তা জানা ও বিশ্বাস করায় কোন সমস্যা নেই। তবে এগুলো যেহেতু হিন্দু ধর্মের মৌলিক দর্শনের সাথে বাস্তবিকভাবে সম্পর্কিত, তাই এগুলো থেকেও বিরত থাকা উত্তম।

مأخَذُ الفَتوی

قال الله تعالى : خلق من ماء دافق يخرج من بين الصلب والترا ئب (سورة الطارق : الآية : ٩-٨)-
وقال تعالى أيضا : ولقد خلقنا الإنسان من صلصال من حماء مسنون ( سورة الحجر، الآية : ٢٦)-
وقال تعالى أيضا : أرأيت من اتخذ إلهه هواه أفأنت تكون عليه وكيلا (سورة الفرقان ، الآية : ٤٤-٤٣)-
وقال تعالى أيضا : وما توفيقي إلا باالله عليه توكلت وإليه أنيب (سورة الهود، الآية :٨٨)-
وفي مسند احمد : عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " لا يعدي شيء شيئا، ‌لا ‌يعدي ‌شيء ‌شيئا "، ‌ثلاثا. قال: فقام أعرابي، فقال: يا رسول الله، إن النقبة تكون بمشفر البعير أو بعجبه، فتشتمل الإبل جربا! قال: فسكت ساعة، ثم قال: " ما أعدى الأول؟! لا عدوى، ولا صفر، ولا هامة، خلق الله كل نفس فكتب حياتها، وموتها، ومصيباتها، ورزقها(‌‌حديث أبي رمثة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم، ج14، ص85، رقم: 8343، ط: مؤسسة الرسالة)-
وفي سنن الترمذي : عن عمرو بن شعيب، عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ليس منا من تشبه بغيرنا، لا تشبهوا باليهود ولا بالنصارى الخ (باب ما جاء في كراهية إشارة اليد بالسلام، ج:٤، ص:425، رقم:٬٢٦٩٥ ط: دار الغرب الإسلامي)-
وفي سنن أبي داود : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من تشبه بقوم فهو منهم ( باب : في لبس الشهرة : ج:٬٤ ص:٧٨، رقم : ٬٤٠٣١ ط:المطبعة الأنصارية بدهلي)
وفي بذل المجهود في حل سنن أبي داود: من شبه نفسه بالكفار. مثلا في اللبس وغيره، أو بالفساق أو الفجار أو بأهل التصوف والصلحاء الأبرار فهو منهم. (باب: في لبس الشهرة ، ج:١٢ ، ص:٥٧، ط: المكتبة الوحيدية)-